সাঁইজির আগমনী গানের মাধ্যমে সাধুসঙ্গের অধিবাস হয়। মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ইছামতি নদীর তীরে দোসরপাড়ায় লালন সাঁই বটতলায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় লালনগীতির মূল আসর। পরের দিন দুপুরে পূর্ণ সেবার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ২৪ ঘন্টার অধিবাস। পদ্মহেম ধামে সাঁইজির বাণীর আসরে মনের মানুষদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়। উৎসবকে ঘিরে দোসরপাড়ার বটতলায় সাধুগুরু, উক্ত সাধু লালন জীবনী, সাধনা বিষয়ক বয়ান ও লালনগীতি পরিবেশন করার জন্য কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লালন সাধক ও ভক্ত-অনুসারীরা আসেন। ভারত ও জাপানের উচ্চ উচ্চ পর্যায়ের সাধক, সাধুগুরু ও খ্যাতনামা বাউল বাউলশিল্পী ও ভক্ত অনুসারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় পদ্মহেম ধাম, লালন সাঁই বটতলা। লালন উৎসবে সংগীত পরিবেশন করেন কুষ্টিয়াসহ দেশ-বিদেশের শতাধিক সাধুগুরু, বাউলশিল্পী। সাধুসঙ্গে দুই দিনে কমপক্ষে ৩০ হাজার ভক্ত ও লালন প্রমীর সমাগম ঘটে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস