যান্ত্রিক ঢাকা শহরের কোলাহল থেকে দূরে এই রিসোর্টটি আপনার রংহীন জীবনে দিতে পারে প্রশান্তি ভরা এক বিরতি। প্রচলিত ভ্রমন স্থানের বাইরে চিত্তবিনোদনের উদ্দেশ্যে সময় কাটানোর জন্য রাজধানী ঢাকার অদূরে অবস্থিত ঢালি আম্বার নিবাস রিসোর্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার অধিনস্ত ইছাপুরার বাহেরকুচিতে অবস্থিত এই রিসোর্টটি। প্রায় ৩৩ একর জায়াগা জুরে নির্মিত ঢালি’স আম্বার নিবাস রিসোর্টে অথিতিদের অবকাশ যাপনের সুবিধার্থে রয়েছে অত্যাধুনিক কটেজ, ডিলাক্স স্যুট, সুপার ডিলাক্স স্যুট, এক্সিকিউটিভ স্যুত, লেকভিউ স্যুইট, সুইমিংপুল, জীম, স্পা, ইনডোর গেমস, মাল্টি কুজিন রেস্টুরেন্ট, কনভেনশন সেন্টার, কনফারেন্স হল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, ফ্যাশন হাউজ, মিটিং রুম সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের সুব্যবস্থা ।
সবুজে মোড়ানো ঢালি আম্বার নিবাস রিসোর্টকে ঘিরে তৈরি লেকে রয়েছে বোট রাইডিং এবং রাতে এই দৃসটিনন্দন আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। রাতে এই রিসোর্টে সেজে উঠে দৃসটিনন্দন আলোর পসরায়। সন্ধ্যায় যখন সারা রিসোর্ট থাকে আলোয় আলোকিত, তখন আসলেই মনে হয় সোনায় রাঙ্গা এক জলপরীদের রাজ্যে ঘুরতে এসেছি। এই রিসোর্টের নয়ানাভিরাম স্থাপত্যশৈলি এবং সবুজের ঘেরা পরিবেশ যে কোন কারো মন কারতে বাধ্য। এখানে ছোট বাচ্চাদের জন্য রয়েছে কিডস জোন, ভারচুয়াল রিয়েলিটি গেমস জোন এবং খেলার মাঠ সহ নানা আয়োজন।
সকল রুম গুলোতে রয়েছে অবকাশ যাপনের অত্যাধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা। এই রিসোর্টের সকল রুমগুলো সম্পুর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং আধুনিক ইন্টোরিয়র ডিজাইনের আলোকে সুসজ্জিত ঐতিহ্য এবং আভিজাত্যের মিশ্রনে এই রিসোটর্টি সাজানো হয়েছে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য।নিয়নবাতির হলদে শহরতলী থেকে একটু দূরে সতেজ পরিবেশ পেতে হলে এবং সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার সাথে পারিবারিক সময় কাটানোর জন্য মনোরম আয়োজনে সুসজ্জিত হয়ে আছে ঢালি’স আম্বার নিবাস।
যেভাবে যাবেন : ( গুলিস্তান/ যাত্রাবাড়ি বাসস্টপ- নিমতলি বাসস্টপ - ঢালি আম্বার রিসোর্ট)
যেকোন বাসে ঢাকা মাওয়া সড়কের শ্রীনগর থেকে একটু আগে নিমতলি বাসস্টপে নেমে হাতের বাম থেকে অটোরিকশা রিজার্ভ করলে রিসোর্টে গেটে নামিয়ে দিবে।
আরেক ভাবেও যাওয়া যায়, ঢাকার গুলিস্তান / সাইনবোর্ড থেকে মুক্তারপুর ব্রিজ, মুক্তারপুর ব্রিজ থেকে রিজার্ভ সিএনজি করে রিসোর্টে যেতে পারবেন।
( বাহেরকুচি,ইছাপুরা রোড, সিরাজদিখান 1543)
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস